Posts

Showing posts from September 24, 2018

সুচনা সংখ্যা, নভেম্বর ২০১৮, সংখ্যাঃ ০১, বর্ষঃ ০১

Image

গল্পঃ বুলডগ ও ভালোবাসা | কবির কাঞ্চন

Image
মোটরসাইকেলটা মেকারের দোকানে রেখে ধীরে ধীরে বাসার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন শীতল চৌধুরী। ভাগ্যিস! আজ সকালে এই মোটরসাইকেলে চড়ে দ্রুত অফিসে আসতে পেরেছেন। এখন যাবারকালে হঠাৎ নষ্ট হয়ে গেছে। আশেপাশে পরিচিত কাউকে না পেয়ে একাকী হাঁটতে লাগলেন। সামান্য পথ পায়ে হেঁটে আসতে তার মুখ- কপাল ঘেমে একাকার। একা চলারপথে হঠাৎ তার মনে পড়ে বল্টু-পল্টু'র কথা। এতক্ষণে নিশ্চয় ওরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে খেলাধূলা শুরু করে দিয়েছে। ওদের কথা মনে পড়তেই তিনি  হাঁটার কষ্ট ভুলে গেলেন। বাসার কাছাকাছি এসে ভাবুক মনে রাস্তা তিনি পার হচ্ছিলেন। এমন সময় বিপরীত দিক থেকে তার দিকে ধেয়ে আসছিল একটি গাড়ি। হঠাৎ পিছন থেকে প্যান্টে টান পেয়ে স্বাভাবিক হয়ে আত্মরক্ষা করেন। অবাক চোখে কুকুরটির দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ নির্বাক থাকেন। আর একটু হলে নিশ্চিত গাড়ির নিচে পড়ে মরতে হতো। একজন পরোপকারীর মতো মৃত্যুর কাছ থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়েছে কুকুরটি। এরপর তিনি রাস্তার পাশের একটি ছোট দোকান থেকে  কিছু খাবার কিনে কুকুরটিকে খেতে দেন। শীতল চৌধুরীর দেয়া খাবার সে খুব মজা করে খায়। এরপর শীতল চৌধুরী আবার বাসার উদ্দেশ্য রওনা দিলেন। বাসার সামনে এসে একবার পিছন ফিরে তিনি

ছড়াঃ শরৎ এলো | নাহিদ নজরুল

Image
শরৎ এলো পাড়ে গাঁয়ে রাণীর বেশে সেই খুশিতে প্রকৃতিটা উঠলো হেসে। শিশিরকণা ঝরে পড়ে দূর্বাঘাসে সূর্য এসে ঝিলিক মারে শুভ্র কাশে। স্নিগ্ধ সবুজ হাতছানি দেয় আমন ধানে ক্লান্ত হলে কৃষক ফিরে ঘরের টানে বিলেরজলে শাপলা শালুক পদ্ম ফোটে গাছ থেকে রোজ শিউলি বেলির সুবাস ছোটে। সাদামেঘের উড়োউড়ি নীলাকাশে সারাবেলা তুলোর মতো দৌড়ে ভাসে। গোধূলিতে লালের মেলা লাল ভরিয়ে ঋতুরাণী শরৎ হাসে রূপ ছড়িয়ে।

কবিতাঃ মন খারাপের স্বপ্ন | মুহাম্মদ বরকত আলী

Image
স্বপ্ন দেখি আমরা সবাই, ইচ্ছে গুলো পাওয়ার আশায়। কিছু স্বপ্ন দেয় যে ধরা, কিছু স্বপ্ন রয়ে যায় অধরায়। দেখো তুমি সেই স্বপ্ন, যে স্বপ্ন দেখতে তোমার আছে যোগ্যতায়। ভেঙ্গে ফেলো সেই স্বপ্ন,    সেগুলো চায়তে তোমায় করছি বারণ।      সেগুলোই তোমার মন খারাপের কারণ।

ছড়াঃ পরী'র সাথে চুক্তি | শিকদার বাসীর

Image
টুম্পা রাণী! টুম্পা রাণী! গান শোনাবো ঘুমপাড়ানি সঙ্গে মজার গল্প! আসছে পরী নীলাম্বরী  শিশিটাতে দিলাম ভরি মন্ত্র পড়ে অল্প।  বিড়াল এলো বাদুর বেশে বললাম, এখন যা দূর ভেসে নয় পাবি না মুক্তি! রুপকথার ঐ অভিযানে আমি যাবো সবই জানে পরী'র সাথে চুক্তি

কবিতাঃ শরৎ আসা গাঁ | আজাদ শেখ

Image
ইচ্ছে করে যাই ছুটে যায় শরৎ আসা গাঁয়ে সারাটা দিন কাটিয়ে দিব উজান ভাটির নায়ে। দেখব আমি কাশের দোলন নদীর ধারে গিয়ে কেমন করে ডাক হেঁকে যায় ময়না শালিক টিয়ে। শিউলি ফুলের ডালে গিয়ে গাঁথবো ফুলের মালা খোঁপায় সেথা গেঁথে নিবে দস্যি গাঁয়ের বালা। ভোর সকালে ছুটে যাবো করিম মাঝির দলে ডুব সাঁতারে মত্ত হবো শাপলা ফোটা জলে। এমন করে কাটিয়ে দিবো ফিরবো সাঁঝেরবেলা হয়তো তখন লুকিয়ে যাবে সাদা মেঘের ভেলা। কাশের বনে জোনাক পোকা আলো দিবে পায়ে ইচ্ছে করে যাই ছুটে যাই শরৎ আসা গাঁয়ে।

কবিতাঃ শরৎ | মাযহারুল ইসলাম অনিক

Image
নীল আকাশে মেঘের গাড়ি চলছে দেখো উড়ে, কোন ঋতুটি এখন বলো আছে চাদর মুড়ে? সাদা সাদা কাশ ফুলেরা বাওলা গানে দোলে, কোন ঋতুতে এই ধরণী খুশিতে চোখ খোলে? ভাটিয়ালি গানের সুরে ভাসায় মাঝি নাও, কোন ঋতুতে নদীর ধারে তুমি ছুটে যাও? ছয়টি ঋতুর কোন ঋতুকে যায় বলা যায় রানী, শরৎ বাদে এইখানেতে কাকেই টেনে আনি? নীল আকাশে মেঘের ছোটা কাশফুলেরই গান, মিষ্টি শরৎ এলেই পরে জুড়ায় মনও প্রাণ। নাম:মাযহারুল ইসলাম অনিক শিক্ষার্থী:দ্বাদশ শ্রেণী, ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপাল কলেজ যশোর ঠিকানা:৩৯,জেল রোড় ঘোপ যশোর মোবা:০১৭০৩২২৬৪৭২।

ছড়া বাংলা আমার | শওকত আলী

Image
বাংলা আমার সবুজ শ্যামল ফুল ফসলের মাঠ বাংলা আমার নদী ঘেরা পদ্মা নদীর ঘাট। বাংলা আমার রাখালির সুর ভাটিয়ালি গান, বাাংলা আমার জন্ম ভূমি গর্বভরা প্রাণ। বাংলা আমার মায়ের ভাষা বাংলা আমার প্রাণ, বাংলা আমার সকল আশা বাংলা আমার গান। এই বাংলাই মানুষ যত সবাই আমার ভাই, আমরা সবাই বাংলাদেশি ভয় আমাদের নাই। 

ছড়াঃ সাদা বক | আবির মাহবুব

Image
সাদা রঙের পড়ছো জামা লম্বা তোমার পা খালে বিলে ঘুরে বেড়াও কোথায় তোমার গাঁ ? জলের ধারে ধ্যান ধরিয়ে কার নামে কি গাও চুপি চুপি হেঁটে হেঁটে মাছ ধরিয়ে খাও । চাই গো তোমার বন্ধু হতে সঙ্গে নেবে কি ? মনের সুখে ঘুরবো দুজন বন্ধু হবে কি ?

ছড়াঃ প্রজাপতি ফড়িং রাজা | তুষার কুমার সাহা

Image
প্রজাপতি ডানা মেলে শিশির ভেজা ঘাসে, খোকন সোনা ধরতে গিয়ে খিলখিলিয়ে হাসে। দূর্বাঘাসে ফড়িং রাজা উড়ে যখন আসে, প্রজাপতির পিছু ছেড়ে ফড়িং পিছু যা সে। হাত বাড়ালে ফড়িং রাজা উড়ে উড়ে ভাসে, প্রজাপতি, ফড়িং রাজা থাকে সবুজ ঘাসে!

খোকা আঁকে | তৌহিদ আহাম্মেদ লিখন

Image
খোকা আঁকে দেশের ছবি প্রকৃতিরই দৃশ্য, সবুজ শ্যামল মায়ায় ঘেরা দেখুক এবার বিশ্ব। খোকা আঁকে ঋতুর ছবি ছয়টি ঋতুর দৃশ্য, ঋতুর খেলা বাংলাদেশে জানুক এবার বিশ্ব। খোকা আঁকে পাখির ছবি উড়ে যাবার দৃশ্য, কেমন করে উড়ছে পাখি ভাবুক এবার বিশ্ব।

নিবন্ধঃ ধর্ষণের উপযুক্ত শাস্তি | কাজী নাসরুল্লাহ আলাউদ্দিন

Image
সমাজে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে ধর্ষণ। যে ধর্ষণ কাহিনী মিডিয়ায় প্রচার হয়, তা নিয়ে আমরা সমানতালে প্রতিবাদ সভা, মানববন্ধন করছি, গলা ফাটিয়ে চিৎকার করছি, শক্তহাতে কলম চালাচ্ছি, শাস্তি চাই! শাস্তি চাই ! ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই ! ফলস্বরূপ কতক ধর্ষক গ্রেপ্তার হচ্ছে। কতক অধরা থেকে যাচ্ছে। আবার অনেকেই বলীর পাঠা হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এক সময় আমরা নীরব হয়ে যাই। পুলিশ ভাইয়েরাও অধরা ধর্ষক নামে নরপশুদের কথা ভুলে যায়। আইনমতে, কুকুরের চেয়েও অধম নরপশুদের শাস্তি হয় পাঁচ, দশ, বিশবছর কারাদণ্ড বা ফাঁসি। এর মাঝে আবার অনেকেই ক্ষমতার দাপটে বা আইনের ফাঁক-ফোঁকরে বেরিয়ে আসে এবং ভিকটিমের উপর প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এমনকি পূনরায় থাকে ধর্ষণ করতে চেষ্টা চালায়। শাস্তি হিসেবে কাজের কাজ কিছুই হলোনা। আর এ জন্যই আমি মনে করি ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তি হিসাবে সর্বোচ্চ শাস্তি হলো জনসম্মুখে ও কে কোরআনি আইন অনুযায়ী অবিবাহিত হলে ১০০বেত্রাঘাত এবং বিবাহিত হলে গলা পর্যন্ত মাটির নিচে চাপা দিয়ে পাথর নিক্ষেপ করা। যে মেয়েটি আজ ধর্ষিত হয়েছে, সে এর জ্বালা আমৃত্যু ভোগ করবে। জীবন্ত লাশ হিসাবে বেঁচে থাকবে সারাটি জীবন। সবসময় পাড়া-প