নিবন্ধঃ ধর্ষণের উপযুক্ত শাস্তি | কাজী নাসরুল্লাহ আলাউদ্দিন
- Get link
- Other Apps
সমাজে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে ধর্ষণ। যে ধর্ষণ কাহিনী মিডিয়ায় প্রচার হয়, তা নিয়ে আমরা সমানতালে প্রতিবাদ সভা, মানববন্ধন করছি, গলা ফাটিয়ে চিৎকার করছি, শক্তহাতে কলম চালাচ্ছি, শাস্তি চাই! শাস্তি চাই ! ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই ! ফলস্বরূপ কতক ধর্ষক গ্রেপ্তার হচ্ছে। কতক অধরা থেকে যাচ্ছে। আবার অনেকেই বলীর পাঠা হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এক সময় আমরা নীরব হয়ে যাই। পুলিশ ভাইয়েরাও অধরা ধর্ষক নামে নরপশুদের কথা ভুলে যায়। আইনমতে, কুকুরের চেয়েও অধম নরপশুদের শাস্তি হয় পাঁচ, দশ, বিশবছর কারাদণ্ড বা ফাঁসি। এর মাঝে আবার অনেকেই ক্ষমতার দাপটে বা আইনের ফাঁক-ফোঁকরে বেরিয়ে আসে এবং ভিকটিমের উপর প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এমনকি পূনরায় থাকে ধর্ষণ করতে চেষ্টা চালায়। শাস্তি হিসেবে কাজের কাজ কিছুই হলোনা। আর এ জন্যই আমি মনে করি ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তি হিসাবে সর্বোচ্চ শাস্তি হলো জনসম্মুখে ওকেকোরআনি আইন অনুযায়ী অবিবাহিত হলে ১০০বেত্রাঘাত এবং বিবাহিত হলে গলা পর্যন্ত মাটির নিচে চাপা দিয়ে পাথর নিক্ষেপ করা। যে মেয়েটি আজ ধর্ষিত হয়েছে, সে এর জ্বালা আমৃত্যু ভোগ করবে। জীবন্ত লাশ হিসাবে বেঁচে থাকবে সারাটি জীবন। সবসময় পাড়া-পড়শী তাকে ঘৃণার চোখে দেখবে। সে হয়ে যাবে অপয়া আর কুলটা। ধর্ষিতা মেয়েটি পরবর্তীতে যতই ভালো কাজ করুক না কেন তার সঠিক মূল্যায়ন সে পাবেনা। কারণ সে ধর্ষিতা। নিজের সতীত্ব হারানোর ক্ষেত্রে যদিও তার কোন দোষ নেই তবু সে ধর্ষিতা। আর যদি ধর্ষকের ফাঁসি হয়, তবে একবারই সে এর জ্বালা ভোগ করবে এবং মৃত্যুর সাথে সাথেই তার শাস্তি শেষ। ঐ কুলাঙ্গারকে যদি ফাঁসি না দিয়ে তার কোরআনি শাস্তি দেওয়া হতো, তবে উপস্থিত মানুষ জানবে এবং জানবে বাংলার মানুষ যে অমুক ধর্ষন করার ফলে তার শাস্তি হিসেবে উল্লেখিত শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ফলে লোকজন ধর্ষককে ঘৃণার চোখে দেখবে এবং সেও আজীবন এর জ্বালা ভোগ করবে । সে বেঁচে থাকলেও একবার নয় তার মৃত্যু হবে বারবার। আর ওকে দেখে অন্যরাও জীবনের জন্য শিক্ষা নিবে যে, ধর্ষণ করলে আমাদেরও ওর মতো লজ্জাজনক অবস্থা হবে। তাই আসুন ! সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে আওয়াজ তুলি। ফাঁসি চাই না, ধর্ষণের কোরআনি বিচার চাই।
লেখকঃ
চেয়ারম্যান, হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন, হোসেনপুর, কিশোরগঞ্জ, মোবাইল-০১৭৩৩৪৪৪১৬৪।
- Get link
- Other Apps
Comments
Post a Comment