গল্পঃ বুলডগ ও ভালোবাসা | কবির কাঞ্চন



মোটরসাইকেলটা মেকারের দোকানে রেখে ধীরে ধীরে বাসার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন শীতল চৌধুরী। ভাগ্যিস! আজ সকালে এই মোটরসাইকেলে চড়ে দ্রুত অফিসে আসতে পেরেছেন। এখন যাবারকালে হঠাৎ নষ্ট হয়ে গেছে।
আশেপাশে পরিচিত কাউকে না পেয়ে একাকী হাঁটতে লাগলেন। সামান্য পথ পায়ে হেঁটে আসতে তার মুখ- কপাল ঘেমে একাকার। একা চলারপথে হঠাৎ তার মনে পড়ে বল্টু-পল্টু'র কথা। এতক্ষণে নিশ্চয় ওরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে খেলাধূলা শুরু করে দিয়েছে। ওদের কথা মনে পড়তেই তিনি  হাঁটার কষ্ট ভুলে গেলেন।
বাসার কাছাকাছি এসে ভাবুক মনে রাস্তা তিনি পার হচ্ছিলেন। এমন সময় বিপরীত দিক থেকে তার দিকে ধেয়ে আসছিল একটি গাড়ি। হঠাৎ পিছন থেকে প্যান্টে টান পেয়ে স্বাভাবিক হয়ে আত্মরক্ষা করেন। অবাক চোখে কুকুরটির দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ নির্বাক থাকেন। আর একটু হলে নিশ্চিত গাড়ির নিচে পড়ে মরতে হতো। একজন পরোপকারীর মতো মৃত্যুর কাছ থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়েছে কুকুরটি।

এরপর তিনি রাস্তার পাশের একটি ছোট দোকান থেকে  কিছু খাবার কিনে কুকুরটিকে খেতে দেন। শীতল চৌধুরীর দেয়া খাবার সে খুব মজা করে খায়। এরপর শীতল চৌধুরী আবার বাসার উদ্দেশ্য রওনা দিলেন। বাসার সামনে এসে একবার পিছন ফিরে তিনি অবাক হলেন। একি! কুকুরটি এত দূরের পথ পাড়ি দিয়ে পিছুপিছু এসেছে। কুকুরটির দিকে তাকাতেই খুব আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন শীতল চৌধুরী। কুকুরটির জলজল চোখ দেখে তার বুঝবার বাকী রইলো না। সে তার সাথে থাকতে চাইছে।
এরপর ওর কাছে এসে গায়ে হাত বুলিয়ে আদর করেন। কুকুরটিও পোষ মানা কুকুরের মতো সুখে চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে থাকে।
শীতল চৌধুরী কুকুরটিকে সঙ্গে নিয়ে বাসায় প্রবেশ করেন। স্ত্রী রুনা ইসলাম তার এমন কান্ডজ্ঞান দেখে বিস্মিত হয়ে জিদজিদ করেন। শীতল চৌধুরী তা বুঝতে পেরে কুকুরটিকে নিয়ে সোজা ব্যালকুনির দিকে চলে আসেন। পিছে পিছে রুনা চৌধুরীও আসেন। স্বামীর মুখের দিকে কৌতুক চোখে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসেন। শীতল চৌধুরী হঠাৎ দুচোখের জল ছেড়ে দিয়ে স্ত্রীর দিকে চেয়ে থাকেন।
রুনা ইসলাম উদ্বিগ্ন হয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
- তোমার কি হয়েছে! এভাবে কাঁদছো কেন?
- আজ তোমার স্বামীকে যে জীবিত দেখতে পারছো, তা কিন্তু এই কুকুরটির উছিলায়।
- তার মানে?
- আসার পথে আমার গাড়িটি নষ্ট হয়ে যায়। তারপর তা মেকারের দোকানে রেখে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিই। আশপাশে কোন গাড়ি না পেয়ে পায়ে হেঁটে এগুচ্ছিলাম। হঠাৎ করে আমার বল্টু-পল্টুর কথা মনে পড়ে। ওদের কথা ভাবতে ভাবতে রাস্তা পার হচ্ছিলাম। উল্টোদিক থেকে একটি গাড়ি খুব স্প্রেডে আমার দিকে আসছিল। সেদিকে আমার একদম খেয়াল ছিল না। গাড়ির নিচে প্রায় পড়ে যাচ্ছিলাম। এমন সময় এই কুকুরটি মুখ দিয়ে আমার প্যান্টের কাপড় পিছন থেকে টেনে ধরে।
আমি থতমত খেয়ে ঝটপট স্বাভাবিক হয়ে আত্মরক্ষা করি। এরপর ওকে কিছু নাস্তা কিনে খাওয়ায়। কিন্তু তখনও ও আমার দিকে অর্থবহ চোখে তাকিয়ে থাকে। এরপর ওকে সেখানে রেখে আমি আবার বাসার উদ্দেশ্যে ছুটতে থাকি। কিন্তু ও আমাকে অবাক করে দিয়ে বাসা পর্যন্ত চলে আসে। এখন তুমিই বল, ওকে কি বাইরে রেখে আসা যায়?
রুনা ইসলাম স্বামীকে জড়িয়ে ধরে ফ্যালফ্যাল করে কেঁদে উঠে বললেন,
- ওকে বাসায় এনে তুমি খুব ভালো কাজ করেছো।
বল্টু-পল্টুর সাথে ও থাকবে।
এই কথা বলে কুকুরটিকে বল্টু-পল্টুর কাছে নিয়ে আসেন।
বল্টু - পল্টু নতুন অতিথিকে পেয়ে খুব খুশি হয়। কুকুরটিও বিড়ালগুলোর মাঝে নিজেকে মানিয়ে নেয়।
প্রতিদিন তিনজনে একসাথে খেলে। একসাথে খাবার খায়। আবার একসাথে ঘুমায়। ভিন্ন জাতের প্রাণী হয়েও একই আত্মার জীব হয়ে যায় তারা। এরিমধ্যে বল্টু - পল্টুর মতো করে কুকুরটিও একটি নাম পায়। বুলডগ। শীতল চৌধুরী আদর করে তার এ নাম দিয়েছেন।
তিনি রোজ ওদের নিয়ে কিছু সময় বেশ আনন্দে কাটান। আবার অফিস থেকে ফিরলে ওরা সম্মান জানাতে ব্যালকুনী থেকে এগিয়ে আসে। ইদানিং বুলডগ নতুনভাবে সম্মান জানাতে শিখেছে। শীতল চৌধুরীসহ ঘরে কোন মেহমান আসলে এমনি করে এগিয়ে এসে দুপায়ে ভর দিয়ে অপর দুটো পা উপরে তুলে স্থির দাঁড়িয়ে থাকবে। এরপর শীতল চৌধুরীর হাতের কোমল ছোঁয়া পেয়ে খুশি হয়ে ঘর পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। শীতল চৌধুরী মনে মনে খুব খুশি হন। কোন অপরিচিত লোককে বাসার দিকে আসতে দেখলে সবার আগে বুলডগ অস্থির হয়ে ঘেউঘেউ করা শুরু করে। ওর আচরণ দেখে মনে হয় কেউ তার মালিকের ক্ষতি করতে এসেছে। এ সময় বিড়ালগুলোও তার পিছু পিছু থাকে। এরপর শীতল চৌধুরী কিংবা তার স্ত্রীকে দেখলে সে স্বাভাবিক হয়ে যায়।
এ নিয়ে শীতল চৌধুরীর পরিবার খুশি হলেও পার্শ্ববর্তী পরিবারের সদস্যরা রীতিমতো আতঙ্কে থাকে। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠা-নামার সময় বুলডগকে বড়বড় চোখে তাকিয়ে থাকতে দেখলে অনেকেই ভয় পেয়ে যায়। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার বুলডগের বিরুদ্ধে শীতল চৌধুরীকে অভিযোগ করা হয়েছে। শীতল চৌধুরী তাদের বুঝাতে গেলে সবার একই কথা,
- দেখুন, একটা কুকুরের ভয়ে আমরা এভাবে চলতে পারি না। তাছাড়া আমাদের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা বাসায় থাকে। ওরা খুব ভয় পায়। আপনি কুকুরটিকে বাসা থেকে বের করে দেন। নইলে আমরা বাড়িওয়ালার কাছে আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে বাধ্য হবো।

শীতল চৌধুরী বুলডগকে নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় পড়ে গেলেন। মনে মনে ভাবতে লাগলেন, এখন  কি করা যায়? এভাবে তো আর রাখা যাবে না। তবে কি বাসায় শিকল দিয়ে বেঁধে রাখবো। না তাতে বুলডগের খুব কষ্ট হবে।
ইত্যাদি ভাবতে ভাবতে বুলডগের কাছে আসেন। তখন বুলডগ বসে আছে। তার সাথে বল্টু পল্টু খেলছে। একবার বল্টু এসে ওর লেজ নেড়ে দিচ্ছে। আবার পল্টু গিয়ে ওর শরীরের সাথে ঘেঁষে মজা করছে। বুলডগ একটুও বিরক্ত হচ্ছে না। বুলডগকে দেখে মনে হচ্ছে ও খুব মজা পাচ্ছে।

একদিন বল্টু পল্টু ব্যালকুনীতে খেলছে। বুলডগ পাশেই বিশ্রাম নিচ্ছে। হঠাৎ কোথাও থেকে একটি বিশাল কালো বিড়াল ব্যালকুনীতে আসে। বল্টু-পল্টু ওকে দেখে এগিয়ে এলে বিড়ালটি অমনি ওদের আক্রমণ করে বসে। বল্টু পল্টু ভয়ে বুলডগের কাছে ছুটে আসে। বুলডগ ঘুমঘুম চোখে বল্টু পল্টুকে বুকে আঁকড়ে রাখে। কালো বিড়ালটির দিকে চোখ পড়তেই ঘেউঘেউ করতে থাকে। বল্টু পল্টুকে দুই পাশে রেখে বিড়ালটিকে তাড়িয়ে দেয়। কালোবিড়ালটি ভয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। বুলডগ আবার ব্যালকুনীতে এসে বিশ্রাম নিতে থাকে। বল্টু পল্টু এসে আবার তার বুকে জায়গা করে নেয়।

আজ সকাল থেকে শীতল চৌধুরীর মন ভালো নেই। মানুষ কি করে এমন নীচ হতে পারে! কুকুর হলেও তো একটা প্রাণী। ওরও তো কষ্টের অনুভব আছে। আশপাশের যে কেউ ওর গায়ে গরম পানি মেরেছে। ওর গায়ের অনেক স্থানে লোম উঠে সাদা হয়ে গেছে। প্রচন্ড যন্ত্রণায় ও ছটফট করছে। ওর ছটফটানির এক একটা অনুভূতি যেন শীতল চৌধুরীর গায়ে বিঁধছে। তিনি ভাবতে লাগলেন,
- বুলডগ তো মানুষের মতো স্বার্থ বোঝে না।  যদি স্বার্থ বুঝতো তাহলে এত অপমান অত্যাচার সহ্য করতো না। পালিয়ে যেতো কোন নিরাপদ ঠিকানায়। একটু ভালোবাসা পায় বলে এ বাসা থেকে যেতে চায় না।
এইসব ভাবতে ভাবতে শীতল চৌধুরীর চোখের জল গড়িয়ে পড়ে। এরপর কুকুরটির গায়ে হাত বুলাতে বুলাতে নরম গলায় বললেন,
- ওরা এত অত্যাচার করে। দূরে কোথাও চলে যেতে পারিস না।
বুলডগ অবুঝ মনে মালিকের দিকে চেয়ে ঘাঁড় নাড়ে। শীতল চৌধুরী ওর মনের ভাষা বুঝে মন খারাপ করে বাসার ভিতরে চলে যান।

আরেকদিন অফিস থেকে ফিরে এসে সবেমাত্র বুলডগের কাছে আসলেন। এমন সময় পাশের ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া শীতল চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে উচ্চবাক্য শুরু করেন।
শীতল চৌধুরী তাদের বোঝাতে গিয়ে বললেন,
- দেখুন, আপনারা শুধু শুধু ঝগড়া করছেন। বুলডগ আপনাদের কি এমন ক্ষতি করেছে?
- কি ক্ষতি করেছে মানে! আপনি কি জানেন না? ওর ভয়ে বাচ্চারা বাসা থেকে বের হতে পারে না। আমরা বড়রাও রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছি। আর আপনি বলছেন ও কি করেছে। ঠিক আছে। এরপর এ বিল্ডিয়ে হয় আপনি আপনার কুকুর, বিড়াল নিয়ে থাকবেন। নয় আমরা থাকবো।
এই কথা বলে তারা নিজেদের বাসার দিকে চলে গেল।

শীতল চৌধুরী রাগ করে সেদিন আর অফিসে গেলেন না। স্ত্রী রুনা ইসলামের সাথে বুলডগের বিষয় নিয়ে আলোচনা করলেন।
দুজনে সিদ্ধান্ত নিলেন, বুলডগকে দূরে কোথাও রেখে আসবেন।

দুপুরে শীতল চৌধুরীর বাসায় ভালো ভালো খাবার রান্না করা হলো।
খুব আদর যত্ন করে শীতল চৌধুরী নিজ হাতে বুলডগকে তার প্রিয় 'গরুর হাড্ডি' খাওয়াচ্ছেন। বুলডগের গায়ে বারবার আদুরে হাতে বুলিয়ে দিলেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে বুলডগকে আবার ব্যালকুনীতে রেখে বাসায় ফিরে আসেন। রুনা ইসলাম স্বামীর ম্লান মুখ দেখে সান্ত্বনার গলায় বললেন,
- আবার মন খারাপ করছো কেন? আমরা তো ওকে কাছেই রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশীরা বুলডগকে ভুল বুঝে অশান্তি মনে করছে। এছাড়া আমাদের কি আর করার আছে!
- তুমি ঠিক বলেছো, রুনা। কিন্তু এ মন যে মানে না। পশু হয়েও বুলডগ আমার জীবন বাঁচিয়েছিল। তারপর এ বাসায় আসার পর আমাদের সাথে পুরোপুরিভাবে মানিয়ে নিয়েছিল। ওকে দূরে কোথাও রেখে এলে আমরা হয়তো ভুলে থাকতে পারব। কিন্তু ও ---------।
- চিন্তা করো না। প্রথম প্রথম একটু কষ্ট হলেও আমাদের মতো মানিয়ে নেবে।
- রুনা, তাই যেন হয়।
এই কথা বলে সেজেগুঁজে বাসা থেকে বের হন শীতল চৌধুরী।
বুলডগও তার পিছেপিছে ছোটে। শীতল চৌধুরী যেতে যেতে অনেক দূরে চলে আসেন। এরপর একটি সরু গলিতে ঢুকলেন।
বুলডগও তার পিছেপিছে আসতে থাকে। শীতল চৌধুরী এদিকওদিক ভালোভাবে লক্ষ্য করলেন। বুলডগকে পিছনে ফিরতে দেখে নীরবে নিজেকে আড়াল করলেন শীতল চৌধুরী। দূর থেকে ওকে লক্ষ্য করছেন।
বুলডগ মালিককে না দেখে পাগলা কুকুরের মতো গলির এদিকওদিক দৌড়াতে থাকে। বড় বড় চোখে মানুষের দিকে তাকিয়ে থাকে। অনেকে পাগলা কুকুর ভেবে ভয়ে রাস্তা থেকে সরে যায়।  কেউ কেউ ইট পাটকেলও নিক্ষেপ করছে। শীতল চৌধুরীর ইচ্ছে করছে প্রকাশ্যে এসে কুকুরটিকে আদর করতে। কিন্তু নিজকে শক্ত করে কষ্টমনে দাঁড়িয়ে চোখের জল মুছতে লাগলেন। স্বাভাবিক হয়ে গলির এদিকওদিক তাকিয়ে দেখলেন।  বুলডগ নেই। হারিয়ে গেছে। কোন দূর অজানায়।

পাশ দিয়ে একটি রিক্সা যাচ্ছিল। শীতল চৌধুরী হাতের ইশারায় কাছে ডেকে রিক্সায় চড়লেন। বাসার উদ্দেশ্যে রিক্সা ছুটে চলছে। কিছুদূর এলে সামনে মানুষের ভীড় দেখে কৌতুহলী হয়ে রিক্সাওয়ালাকে রিক্সা থামতে বললেন।
এরপর রিক্সা থেকে নেমে এক পা দুই পা করে ভীড়ের মধ্যে প্রবেশ করলেন। শীতল চৌধুরী নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। একটু আগে বুলডগ তাকে চোখে চোখে রেখেছিল। আর এখন লাশ হয়ে রক্তাক্ত দেহে রাস্তায় পড়ে আছে।

শীতল চৌধুরী ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলেন। উপস্থিত সকলে তাকে এভাবে কাঁদতে দেখে বিস্মিত চোখে তার দিকে চেয়ে রইলো। কেউ কেউ বলাবলি করতে থাকে, মনে হয় লোকটার পোষা কুকুর। আহারে! নিষ্ঠুর ট্রাক কুকুরটির তাজা প্রাণ কেড়ে নিল।

এরপর রিক্সাওয়ালাকে কাছে ডেকে কুকুরটি রিক্সায় উঠিয়ে নিলেন। রিক্সা আবার বাসার দিকে চলছে।
শীতল চৌধুরী বাসায় এসে কারো সাথে কোন কথা না বলে ধপাস করে বিছানায় পড়ে রইলেন। রুনা ইসলাম স্বামীর পাশে বসে আর্দ্র গলায় বললেন,
- বুলডগকে কোথায় রেখে এসেছো?
- যেখান থেকে ও আর কোনদিন ফিরে আসবে না।
- তার মানে!
- বুলডগকে গলির মুখে ছেড়ে দিয়ে আমি পাশের একটি বিল্ডিংয়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকি। দূর থেকে ওকে লক্ষ্য করি। ও আমাকে খোঁজতে পাগলের মতো ছুটোছুটি করতে থাকে। কেউ কেউ ওকে পাগলা কুকুর মনে করে ইট পাটকেল ছুঁড়ে। এরপর -----------।
এই কথা বলে শীতল চৌধুরী চিৎকার করে কাঁদতে লাগলেন।
রুনা ইসলাম কান্নাজড়িত কন্ঠে বললেন,
- বুলডগ এখন  কোথায়?
শীতল চৌধুরী অসহায়ের মতো বললেন,
- বাসার নিচে। রিক্সায়। চল, ওকে শেষবারের মতো বিদায় জানিয়ে মাটিতে পুঁতে আসি।



পরিচিতি ও যোগাযোগ :
কবির কাঞ্চন
সহকারী শিক্ষক
বেপজা পাবলিক স্কুল ও কলেজ চট্টগ্রাম
সিইপিজেড, চট্টগ্রাম
যোগাযোগ - ০১৬৭৩৯০৩৫০৩
                    ০১৯৬০০৯০৭৭৬
email: kabirctg1985@gmail.com
‎ফেসবুক : কবির কাঞ্চন

Comments

Popular posts from this blog

শিশুতোষ গল্পঃ রাজকন্যা ও ব্যাঙ | মোনোয়ার হোসেন

খোকা আঁকে | তৌহিদ আহাম্মেদ লিখন

গল্প : পিতার আর্তনাদ | কবির কাঞ্চন