Posts

সাম্প্রতিক

অানন্দময়ীর অাগমনেঃ

Image
__________ অামার রাত পোহালো শারদ প্রাতে...... 🍥 🍥 🍥 🍥 🍥 💐 💐 💐 💐 গতকাল সন্ধ্যার পর বাইরে বের হতেই ধুঁপের কড়া গন্ধ পাচ্ছিলাম। বাজারের সেই চিরচেনা মন্ডব থেকে ভেঁসে অাসছিলো ঢোল ও কাসার শব্দ অার লাল, নীল রঙে ছিলো চারপাশ অালোকিতো। কি হচ্ছে তবে? অহ্হো, পড়ে বুঝলাম যে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে মহালয়া হিন্দুধর্মালম্ব ীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। দু্র্গতিনাশিনী মা দুর্গার অাগমন অামাদের কে স্মরণ করিয়ে দেয়, যুগে যুগে মানুষের পাপের সাজা দিতে কেউ না কেউ এগিয়ে অাসে। যে যেই ধর্মের হোন না কেনো অন্য ধর্মালম্বীদের স্বাধীন ভাবে তাদের উৎসব পালন করতে দিন। নিজে ভালো থাকুন অার অন্যদেরকেও ভালো থাকতে দিন। সবাইকে পবিত্র শারদীয়ার শুভেচ্ছা।

গল্পঃ শীত ও গোসল | মজনু মিয়া

Image
নূর আলমকে ধরার জন্য তার মা ও দাদী দশটার পর থেকে দৌড়াচ্ছে তো দৌড়াচ্ছে কিন্তু কিছুতেই নূর আলম কাছে আসছে না।চোপে চোপে মা কে আর দাদীকে ফাঁকি দিয়ে এ বাড়ি ও বাড়ি লুকিয়ে বেড়াচ্ছে, কারণ সে শীতে কাঁপছে গায়ের কাপড় খোলে নাই, সে গোসল দেবে না। মায়ে কি করবে কি করবে ভেবে না পেয়ে একটা বুদ্ধি করলো,মিথ্যা বলে হলেও গোসল করাতে হবে তাই মায়ে মিথ্যা বললো,নূর আলম আয় বাবা নানী বাড়িতে নিয়ে যামু,নূর আলম ভাবে মায়ে মিথ্যা কথা বলতেছে তাই; আবার নূর আলম বলে সত্যি মা যাবে? মায়ে বলে তুই যাবি না আমি একাই যাবো। কি আর করার!  এক পা আগায় দু পা পিছায় করতে করতে মায়ের কাছে এলো বললো,আগে তুই গোসল কর তারপর দেখ কি করি। যা হোক গোসল করালো,ঠকঠক করে কাঁপতে লাগলো ;এখন দাদীকে বলে তুমি আগুন জ্বালিয়ে দাও কি আর করার নাতীর কথা রাখতেই হবে।কিছু পাতা আর খড় দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিলো নূর আলম আগুনে একটু গা তাপ দিয়ে আবার খেলতে চলে গেলো।সন্ধ্যায় ভাত খেতে চায় না তার ঠান্ডা লাগে তাই সে কাঁথা মুড়ি দিয়ে বিছনায় শুয়ে শুয়ে খায়।পড়তে বসলে বললে দৌড়ে পালায় বলে কাঁপছি দেখো না? এমনি করে,রাতে কাঁথা কম্বল গায়ে দিয়ে রাত পার করে,সকালে উঠতে চায় না।ম

ছড়াঃ একটি প্রীতির রাখী | মালিপাখি

Image
জরির টোপর পাল তোলা মেঘ , একটু তাকাও যদি  ; দেখবে হেসে টাপুর-টুপুর বইছে গানের নদী -- ! তার পাশে সব এতোল বেতোল, নাম না জানা গাছে ; শিউলি-টগর- বকুল -পলাশ ফুলরা ফুটে আছে  ! জল চিক চিক, গান চিক চিক , ঝিনুক পুঁতির খোঁজে  ; একটা মানুষ ঢেউ হয়ে যায় -- কেউ কি সেটা বোঝে  ? কেউ বোঝেনা, কেউ বোঝেনা, নীল পালকে মুড়ে  ; লোকটা ক্রমেই যায় হারিয়ে দূরের থেকে দূরে  -- ! দিন থেকে রাত ছুটতে ছুটতে -- মন ভোলা তার ছবি ; নিঝুম পুরের হাওয়ায় ভাসে -- ঠিক যেন সে কবি   ! তুমিই তবে জরির টোপর , পাল তোলা মেঘ পাখি ; লোকটাকে রোজ পরিয়ে দিও একটি প্রীতির রাখী  !

মিনি গল্পঃ স্বদেশপ্রেম | মুহাম্মাদ ইমরান

Image
গাছের পাতাগুলোয় আলতো দোলা দিয়ে বইছে ভোরের মৃদুমন্দ বায়ু। রাত পোহাতেই কিচিরমিচির রব তুলে গাছের ডালে এসে বসেছে দুটি টুনটুনি। ভারী সুন্দর টুনটুনি পাখি। ছোট্ট ছিমছাম তাদের বদন আর বড্ড আদুরে গড়ন। যে কেউ দেখলে ওদের ধরতে প্রবৃত্ত হবে। কিন্তু বড্ড কঠিন ওদের কব্জা করা। দিনভরের উষ্ণ রোদ্দুরে অতিষ্ঠ হয়ে যায় তারা। গ্রীষ্ম এলে জলবায়ুর উত্তাপে প্রতিনিয়তই বেহাল দশার মুখোমুখি হতে হয় তাদের। ভোরের এ হিম ছড়ানো মৃদুমন্দ বায়ু তাদের কাছে তাই অনেক প্রিয়। প্রভাত-বায়ুর আলতো ছোঁয়ায় তারা সজিব আর প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। সূর্যটা তপ্ত রশ্মি ছড়িয়ে দেওয়ার আগ পর্যন্ত, এ প্রভাতী বায়ুর সঙ্গে সখ্যতা আর খুনসুটিতে বেশ আমোদ আনন্দে তারা সময় পার করে। প্রভাত-বায়ু দেখল, টুনটুনি দুটি উষ্ণ অঞ্চলে একাকী একটি গাছের ডালে জীবন পার করছে। তাই কথায় কথায় একদিন জিজ্ঞেস করল, আচ্ছা টুনটুনি! তোমরা তো অনেক সুন্দর আর নরোম বদনের পাখি। কিন্তু তোমাদের ব্যাপারটি বড় আশ্চর্য রকম ঠেকে আমার কাছে। কি করে তোমরা এ খরাকবলিত অঞ্চলে বাস কর? তোমরা যদি বল আমি যেখান থেকে এসেছি,  সেখানে তোমাদের উঠিয়ে নিয়ে যাব। জানো, সেখানে কি কি সুখসামগ্রীর সমাহার

শিশু অঙ্গনঃ খেলাধুলার জন্য পর্যাপ্ত মাঠ চাই | আজহার মাহমুদ

Image
একটি শিশুর বেড়ে উঠার জন্য যে বিষয়টি সবচেয়ে জরুরী তা হচ্ছে খেলাধুলা। এছাড়াও খেলাধুলা তরুণ এবং যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখে। কিন্তু  সারাদেশে খেলার মাঠ যেন দিন দিন কমে যাচ্ছে। বলাযায় এখন খেলার মাঠ খুব  বেশী নেই। প্রতিটি খালি জায়গা এখন দালানকোঠায় রুপান্তরিত হচ্ছে। খালি  কোনো জায়গা নেই, যেখানে বাচ্চারা একটু খেলবে  এবং দৌড়াবে। পক্ষান্তরে  কিন্তু লোকসংখ্যা বাড়ছে। এতে করে শিশুর সংখ্যাও বেড়ে চলছে। ভবিষতে এই শিশুরা মাঠ কোথায় পাবে সেটাও বড় চিন্তার বিষয় । এখন তরুণ ছেলেরাও খেলার  জন্য মাঠ খুঁজে পায়না। মাঠ আছে শুধু জাতীয় পর্যায়ে খেলার জন্য। কিন্তু  জাতীয় পর্যায়ে খেলার জন্য তৈরী হতে যে আগে খেলতে হয় সেটা আমরা অনেকেই  ভুলে গেছি। নতুন নতুন স্টেডিয়াম হচ্ছে। কিন্তু এদিকে শিশু, তরুণ, যুবকরা  খেলার জন্য মাঠ খুঁজে পায় না। ছোট ছোট খালি জায়গায়ও অনেক সময় ছেলে মেয়েরা  ক্রিকেট, ফুটবল খেলে। কারণ তাদের ভেতর খেলাধুলার ইচ্ছা এবং আগ্রহ রয়েছে।  কিন্তু সেই ইচ্ছা এবং আগ্রহ একদিন মাঠের অভাবে হারিয়ে যাবে এসকল শিশুদের  আর তরুণ এবং যুব সমাজরা হয়ে উঠবে ফেসবুক এবং মাদক নির্ভর। কারণ খেলাধুলা খেলতে না পারলে বিকেলের অবস

কবিতাঃ আশ্বিনের নির্জনতায় | সাদিয়া আফরোজ খান

Image
আশ্বিনের গোধূলী বেলায় আশ্চর্য রকম বাতাস খেলা করে।  নাগরিকতা পাশ কাটিয়ে ব্রহ্মপুত্রের কিনারে -  জীবনের আনন্দ ভীর করে এসে। জীবনের আয়োজন পাশে পড়ে রয় মন কোলাহল ছেড়ে বাঁচে এখানে,বাতাসের ঢেউঘেরা নির্জনতায়। নির্জনতায় -মনে পড়ে যায় তোমাকে ; অসুখের মতন ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত শরীরে মন মানসে।  এ করতল তোমার চিবুক ছুঁয়েছিল একদিন - বলেছিলাম, হারাবেনা তো আর? করতলের স্পর্শে আবেশে তোমার ঠোঁট শুষ্ক কথা ফোটে নি সে ঠোঁটে - শুধু মাথা নেড়ে বলেছিলে, হারাবে না আর! এ নির্জন মেরুন আলোয় ঢেউ খেলে নদী সুবাতাস খেলে, আকাশ মেলে আকাশে। আমরা দু'জনে সে সব দেখেছি কতো চেয়ে - কত দেখেছি কাশফুলের ঘাটে; ক্ষণপ্রভা শিউলির সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ে - আজও মনে হয়- সেই কাশবনের খেয়া ঘাট, শান্ত তরী বাঁধা থাকে গোধূলী আলোয়। ভেসে আসে শিউলির সুঘ্রাণ ভরা আমাদের কথপোকথন!  যদিও বিদায় নিয়েছি তার কাছে, তবুও আজকের মতো এই নির্জনতায় - প্রেম,প্রকৃতি আর মন  তাকেই পিছু টানে!!

ছড়াঃ টুনটুনি | আবু আব্দুল্লাহ আল মাসউদ

Image
ছোট্ট পাখি টুনটুনিকে দেখবে যদি চাও হরেক রকম গাছে ভরা বন-বাদাড়ে যাও৷ ছোট্ট দেহী হলেও তারা চতুর দেখি খুব এক মূহুর্তের জন্যে তারা থাকে না যে চুপ৷ লতা-পাতার ফাঁক- ফোকরে ফুড়ুত ফুড়ুত উড়ে পোকা- মাকড় মুখে নিয়ে গাছের ডালে চড়ে৷ ঝোপঝাড়ে আর ছোট্ট গাছে করে তারা বাস আপন নীড়ে মনের সুখে কাটায় বারো মাস৷